থ্যালাসেমিয়া রোগ

৫: খাবারের তালিকা

ডা. ফাহিম আহমাদ

থ্যালাসিমিয়া রোগীর খাবার নিয়ে সব সময়ই চিন্তা থাকে, রোগী এবং তার বাবা-মায়ের। ইহা বাংলাদেশের সাধারণ খাবারগুলো একটা তালিকা। এই তালিকা অনুসরণ করে চললে আশা করি রোগী ভালো থাকবে।
যে সমস্ত খাবারে অধিক পরিমাণ লৌহ (High Iron Diet) আছে, সেই সমস্ত খাবার অবশ্যই পরিহার করবে এবং যে সমস্ত খাবারে কম পরিমাণ লৌহ ( Low Iron Diet) আছে, সেই সমস্ত খাবার খেতে হবে। তাই থ্যালাসিমিয়া রোগীরা কোন ধরনের খাবে তা নীচের খাদ্য তালিকা থেকে কম লৌহ যুক্ত খাবার বেছে নিবে।

খাদ্য সামগ্রীর নামঃ

১। মাংস ও মাংস জাতীয় খাদ্য

অধিক লৌহযুক্ত খাবার (High Iron Diet)

অধিক লৌহযুক্ত খাবারঃ

গরুর মাংস, খাসীর মাংস, কলিজা, ডিমের কুসুম, ইলিশ, কৈ, চিংড়ি, চিতল, শিঙি, টেংরা ও ছোট মাছের শুটকি।
কম লৌহ্যযুক্ত খাবার (Low Iron Diet)
রুই, কাতল, পাংগাস, বোয়াল, মাগুর, সরপুঁটি, সোল ও বাচা মাছ।

২। শাকসবজিঃ

অধিক লৌহযুক্ত খাবার (High Iron Diet)
কচুশাক, লালশাক, পালংশাক, পুইশাক, ফুলকপি শাক, পুদিনাপাতা, ধনেপাতা, ফুলকপি, সিম, বরবটি, মটরশুঁটি, কাঁকরোল, কাচা পেপে, সাজনা, কাচা টমেটো।

কম লৌহ্যযুক্ত খাবার (Low Iron Diet)
বাঁধাকপি, মিষ্টি আলু, করলা, মিষ্টি কুমড়া, ঢেড়স, মূলা , শালগম, কাচা কলা, ঝিংগা, পাকা টমেটো, লাউ, চাল কুমড়া।

৩। ফলঃ

অধিক লৌহযুক্ত খাবার (High Iron Diet)
আনারস, বেদানা, শরিফা, খেজুর, তরমুজ।

কম লৌহযুক্ত খাবার (Low Iron Diet)
পাকা আম, লিচু, কলা, পাকা পেপে, কমলালেবু, বেল, জামরুল, আমলকি, কাগজী লেবু, পেয়ারা, আংগুর।

৪। খাদ্য শষ্য এবং তা থেকে তৈরী খাবারঃ

অধিক লৌহযুক্ত খাবার (High Iron Diet)
খৈ, কর্ণ ফ্লেক্স (Corn Flakes), শিশু খাদ্য যেখানে লৌহ সংযুক্ত করা আছে যেমন- সেরিল্যাক(cerelac), কাউ এবং গেট (cow & gate) ইত্যাদি।
কম লৌহ্যযুক্ত খাবার (Low Iron Diet)
চাল, ময়দা, পাউরুটি।

৫। ডালঃ

অধিক লৌহযুক্ত খাবার (High Iron Diet)
ছোলা, ছোলার ডাল।
কম লৌহ্যযুক্ত খাবার (Low Iron Diet)
মসূর ডাল।

৬। বিবিধঃ

অধিক লৌহযুক্ত খাবার (High Iron Diet)
গুড়, বাদাম (almonds), চীনাবাদাম, কিসমিস, তিল, পান, জিরা, ধনে, সরিষা
কম লৌহযুক্ত খাবার (Low Iron Diet)
মধু, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যথা- দই, ছানা, পনির, রসগোল্লা ইত্যাদি।
থ্যালাসিমিয়া রোগীর খাবারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডা. ফাহিম আহমাদ

ডাঃ ফাহিম আহমাদ ২০০৬ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন। সরকারী বিধি অনুযায়ী দুই বছরের অধিক সময় গ্রামে কাজ করার পর শিশু রোগ সম্পর্কে উচ্চতর পড়াশুনা শুরু করেন। প্রায় ৪ বছর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু রোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
বর্তমানে এমডি(শিশু) শেষ করার পর শিশু বিভাগে কর্মরত আছেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *