গ্রাফিক ডিজাইন এর আদ্যোপান্ত: একজন সফল গ্রাফিক ডিজাইনার হতে যা জানা প্রয়োজন
ছোট থেকেই কল্পের কম্পিউটার নিয়ে খুনসুঁটির অভ্যাস। তার উপর সে গুছানো জিনিস পছন্দ করে।
দেখা যায় ক্লাসের পড়ার বিভিন্ন টপিকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে সে গুলো নিজের মতো করে অনলাইনে নোট করে, সাজায়, পছন্দমতো ছবি বসায়।
এক দিন ছোট ভাই তামিমের একটা ক্লাস প্রেজেন্টে- শনের স্লাইড বানাতেও সাহায্য করলো। এডোবি ফটোশপ ব্যবহার করে সুন্দর ডিজাইন এঁকে দিলো স্লাইডগুলোর পাশে।
অতো মনোযোগ দিয়ে না করলেও দেখা গেল বেশ সুন্দর হয়েছে জিনিসটা। এক বন্ধু জানালো এডোবি ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করে এই সব কাজ করা আরও সুবিধার।
আগ্রহ থেকে কল্প বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটারে আঁকা আঁকি শুরু করলো, পাশা পাশি শুরু করে দিলো ঘরে বসে গ্রাফিক ডিজাইন শেখা।
শিখতে শিখতেই একদিন সময় করে এডোবি ইলাস্ট্রেটরে বসে মায়ের বিজনেস পিচ ডেকে সুন্দর ডিজাইন এঁকে দিলো, আরেক দিন বন্ধুর একটা ছোট ব্যবসার জন্য টিশার্ট ডিজাইন করে দিলো।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি করে আশে পাশের মানুষের আরো কাজে লাগানো যায় সেটার চেষ্টা করতে থাকলো।
এভাবে আস্তে আস্তে বন্ধু আর পরিবার মহল থেকে বাইরেও পরিচিত হতে শুরু করলো কল্প। পেশাদার গ্রাফিক ডিজাইনিং শিখে কল্প এখন ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়েছে।
Graphic Designing with Photoshop
কোর্সটি করে যা শিখবেন:
Adobe Photoshop- এর বিভিন্ন টুল ও ফিচার ব্যবহার করে লোগো ডিজাইন, অ্যাড ডিজাইন, ফটো এডিট সহ বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক ডিজাইন করা।
গ্রাফিক ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং অথবা প্রজেক্ট-বেসড কাজের মাধ্যমে উপার্জন করার কৌশল :
কল্পের গল্প থেকে কিছুটা ধারণা কি পেলে গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে?
না পেলেও সমস্যা নেই। এই লেখায় আলোচনা করবো গ্রাফিক ডিজাইনের আদ্যোপান্ত, আর কীভাবে গ্রাফিক ডিজাইন শিখে তুমিও হয়ে যেতে পারো একজন সফল গ্রাফিক ডিজাইনার!
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? গ্রাফিক ডিজাইন নাকি গ্রাফিক্স ডিজাইন?
ব্যাপারটিকে কয়েকটি বাক্যের মাঝে সংজ্ঞায়িত করা বেশ কঠিন। গ্রাফিক ডিজাইন কি-এর উত্তরে সহজভাবে বলা যায়, গ্রাফিক ডিজাইন হচ্ছে কোনো একটা কনসেপ্ট বা ধারণাকে ছবি, ডিজাইন, শিল্প আর সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা।
গ্রাফিক ডিজাইন বলতে আমরা অনেকে হয়তো বুঝি লোগো তৈরী করা কিংবা ওয়েবসাইট ডিজাইন করা।
অনেকে টেনেটুনে ইলাস্ট্রেটরে দুয়েকটা ব্যানার বানিয়েই নিজেকে ডিজাইনার দাবি করেন। এ গুলো গ্রাফিক ডিজাইনের আওতায় পড়ে অবশ্যই, কিন্তু আদতে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর পরিসর অনেক বিস্তৃত।
গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে সবচাইতে বড় ভুল বোঝাবুঝিটা কোথায় জানেন ?
একদম গোড়ায়, অর্থাৎ এর নামে। মজার ব্যপার না! গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে কাজ করা মানুষের অধিকাং- শই একে ডাকেন ভুল নামে। সবাই যেটাকে ‘গ্রাফিক্স ডিজাইন’ নামে জানে, সেটা আসলে গ্রাফিক ডিজাইন!
এই ব্লগ যেহেতু পড়তে এসেছো, আমি ধরে নিচ্ছি তুমি গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে আগ্রহী। আর আগ্রহের শুরু থেকেই শিখে নাও, যে সঠিক শব্দটা আসলে ‘গ্রাফিক ডিজাইন’, ‘গ্রাফিক্স ডিজাইন’ না!
যে ৬টি কারণে গ্রাফিক ডিজাইন শিখবে :
প্রযুক্তি নির্ভর আমাদের পৃথিবীর সাথে গ্রাফিক ডিজাইন একদম ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে।
এই জিনিস কোথায় নেই?
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে যেই টুথপেস্ট দিয়ে
ব্রাশ করেন, সেটার মোড়ক থেকে শুরু, টিভিতে , অনলাইনে যত এডভারটাইজমেন্ট দেখি, সুপার শপের লোগো থেকে স্কুলের বার্ষিক ম্যাগাজিন সব কিছুতেই আছে গ্রাফিক ডিজাইন।
এমনকি আপনার প্রিয় ব্যান্ডের লোগো ওয়ালা টিশার্টটাও এই গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ।
টি-শার্ট ডিজাইন কীভাবে করে ? জেনে নিন ১০টি সেরা টি-শার্ট ডিজাইনিং টিপস :
গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমেই কোনো একটা পণ্য অথবা বার্তাকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা হয়। বর্তমান পৃথিবী তো পুরোদস্তুর মার্কেটিং নির্ভর।
আর এই মার্কেটিং এর কথা চিন্তাও করা যায়না গ্রাফিক ডিজাইন ছাড়া ! এজন্যই এই স্কিল জানা একজন মানুষের জন্য তৈরী হয় বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র ।
গ্রাফিক ডিজাইনের পেছনে অনেক সময় আর পরিশ্রম দেয়া কেন সার্থক, চলুন জেনে নেই এখন।
০১) সবখানেই গ্রাফিক ডিজাইনার চাই :
একটু আগে যেমনটা বললাম, পুরো পৃথিবীটা হয়ে গেছে মার্কেটিং নির্ভর। প্রযুক্তি এতটাই বিস্তৃত এখন, যে একজন ছোট ব্যবসায়ীরও প্রচারের প্রয়োজন হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সহ আরো অনেক ধরণের ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে শুরু করে অফলাইন মার্কেটিং – মানুষকে আকৃষ্ট করতে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ জরুরী ।
শুধু কি মার্কেটিং? আশেপাশে তাকিয়ে দেখলে বুঝতে মোটেই বেশি সময় লাগবেনা যে গ্রাফিক ডিজাইন কিভাবে সবকিছু ছেয়ে আছে।
এই যে সব কিছুতে এত এত ডিজাইনের প্রয়োজন হয়, সেই তুলনায় ইন্ডাস্ট্রিতে ডিজাইনারের পরিমাণ কিন্তু বেশ কম। কিছুদিন আগেই এই পরিমাণ একদমই নগণ্য ছিলো ।
বর্তমানে অনেকে গ্রাফিক ডিজাইন শিখে কাজ করা শুরু করেছে । কিন্তু মজার ব্যপার হলো, গ্রাফিক ডিজাইনারের চাহিদা এতটুকুও কমে নাই !
এর কারণ, পৃথিবী প্রতিনিয়ত একটু বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে । আর সবখানে গ্রাফিক ডিজাইনের উপর দায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে । এজন্য একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের সব সময়ই চাহিদা থাকে।
ঠিক ঠাকমতো কাজ জানলে একটা ব্যাপারে আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি, যে আপনার কাজের কোনো দিনও অভাব হবেনা !
০২) পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বসে কাজ করা যায়:
ধরন আপনি একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার । এক দিন সকাল বেলা দিনাজপুরের ছোট একটা গ্রামে পুকুর পাড়ের মাচাঙে বসে মেক্সিকোর একজন ব্যাবসায়ীর একটা ইউটিউব প্রোফাইল ডিজাইন করে দিচ্ছেন । আপনার মা পাশে এসে বসলেন এক কাপ চা নিয়ে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি চমৎকার একটা ব্যাপার না?
হ্যাঁ, একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে আপনার পুরোদস্তুর একটা ক্যারিয়ার হতে পারে নিজের বাড়িতে বসে ! পুরোটাই ইন্টারনেটের কল্যাণ।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্স ডিজাইনার হন , তাহলে কাজ বুঝে নেবার পর আপনার আসলে কাজ দাতার সাথে বেশী একটা যোগাযোগের প্রয়োজন পড়বেনা।
কাজের জন্য সরাসরি দেখা করার তো প্রশ্নই আসেনা। ফলে পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় বসেই আপনি কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন !
০৩) গ্রাফিক ডিজাইন হতে পারে সেরা একটা আয়ের উৎস!
ফেসবুকে নিশ্চয়ই দেখেছেন গ্রাফিক ডিজাইন শিখে ঘরে বসে আয় করার গল্প গুলো? গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়?
আমাদের বাংলাদেশেই এখন অনেক ডিজাইনার আছেন, যারা সফলতার সাথে গ্রাফিক ডিজাইন শিখে, কাজ করে, অনেক অর্থ উপার্জন করেছেন। অনেকে রীতিমতো গাড়ি-বাড়িও কিনে ফেলেছেন এই এক কাজ করে !
তাই বলে আবার মনে করে বসবেন বা কাজটা হাতের তুড়ি দেবার মতো সহজ। এই স্কিল শিখতে প্রয়োজন হয় অনেক মনোযোগ, পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের।
প্রথমেই যে আপনি উপার্জন শুরু করে দিবেন এমনও না ব্যাপারটা । তবে যথেষ্ট সময় দিলে, আর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আপনার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবেনা এইটুকু নিশ্চয়তা আমি দিতেই পারি !
০৪) কাজের স্বাধীনতা, সৃজনশীলতা কাজে লাগাবার সুযোগ :
একজন সেদিন খুব দুঃখ করে বলছিলেন কর্ম ক্ষেত্রে কীভাবে ওনার আইডিয়াগুলো কাজে লাগানো যায় ।
আপনি ও আত্মীয় কিংবা পরিচিত মানুষদের অনেক সময় বলতে শুনে থাকবেন তাদের কর্মক্ষেত্র কেমন কঠিন, কিভাবে উর্ধ্বতনের কথা রোবটের মতো মেনে চলতে হয়, তাদের আইডিয়াগুলোর যথার্থ ব্যবহার হয়না।
কিন্তু আপনি যদি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার এমন ব্যাপারগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছেনা ।
কারণ, এইখানে আপনিই আপনার বস ! আজ মায়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে নিজ হাতে রান্না বান্না করতে চান? করুন ।
আজ না হয় একটা অর্ডার কম নিলেন ! একটা লোগোতে কালার শেড পছন্দ হচ্ছেনা ? বদলে ফেলেন ।
ক্রেতার যদি ফাইনাল প্রডাক্ট পছন্দ হয়, তাহলে আপনার প্রতি কোনো অভিযোগ তো দূরের কথা, উল্টো তিনি আপনাকে ধন্যবাদ দিবেন!
গ্রাফিক ডিজাইন কিন্তু একটা সৃজনশীলতার খেলা। আপনি যত বেশী নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাবেন, কাজ তত বেশি সমৃদ্ধ হবে!
০৫) কাজে ভালো হলে বারবার ফিরে আসবেন ক্রেতা :
একটু আগে যেমনটা বললাম, আপনার সৃজনশীলতা আর কাজের ধরণ যদি ক্রেতার পছন্দ হয়ে যায়, তাহলে তিনি কেন আবার কষ্ট করে নতুন একজনকে খুঁজতে যাবেন?
তিনি যেটা করবেন সেটা হলো পরবর্তীতে আরো বড় একটা অর্ডার নিয়ে আপনার কাছে হাজির হবেন।
ধরেন আপনি ওনার বিজনেস লোগো খুব সুন্দর করে বানিয়ে দিয়েছেন । পরবর্তীতে ওনার ব্যবসার এড- ভার্টাইজ মেন্টসহ বাকি সব কাজের দায়িত্ব উনি আপকেই দিবেন ।
হয়তো বন্ধুদের সাথে আড্ডায় আপনার নামও রেফার করে দিবেন। এভাবে ভালো কাজ করলে দ্রুতই আপনি একটা ভালো অবস্থানে থাকতে পারবেন ।
কাজেই বুঝতে পারছন , গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়- প্রশ্নটির উত্তর কিন্তু তখন আপনার নিজের হাতে।
০৬) নিজে নিজে শেখা যায় !
অনেকের প্রশ্ন থাকে, গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব?
একদম উপরের কল্পের গল্পটা কিন্তু মোটেই মিথ্যা নয়। কল্পের মতো অনেকেই ঘরে বসে গ্রাফিক ডিজাইন শিখে এখন সফল।
মজার ব্যাপার হলো, গ্রাফিক ডিজাইন স্কিলটা এমন যে আপনাকে এর জন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নিতে হবেনা।
অর্থাৎ, গ্র্যাজুয়েশান শেষ করা একজনের ঠিক পাশের বাসায় বসেই ক্লাস নাইনের একজন সমানতালে ডিজাইন করতে পারবেন ।
এখানে আপনার মূল হাতিয়ার সৃজনশীলতা, ইচ্ছাশক্তি আর দক্ষতা। গ্রাফিক ডিজাইনে আপনার কয়টা প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট আছে, এটা আপনাকে কেউ জিজ্ঞেস করবেনা কোনো দিন ।
আর গ্রাফিক ডিজাইন শেখানোর জন্য ইন্টারনেটে অগণিত কোর্স, আর্টিকেল আর টিউটোরিয়াল তো আছেই!
একটু ইচ্ছা শক্তির সাথে এক মুঠো পরিশ্রম মেশালে ঘরে বসেই আপনি হয়ে যেতে পারবেন চমৎকার দক্ষ একজন গ্রাফিক ডিজাইনার!
৩টি সেরা গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার :
কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখব? কী দিয়ে শুরু করব?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে বেশিরভাগ ডিজাইনার যেই গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যারগুলো দিয়ে শেখা শুরু করার পরামর্শ দেন, সেগুলোর ব্যাপারে এখানে আলোচনা করবো। সাথে আপনাদের জানিয়ে দেবো এগুলোর প্রচলিত কিছু সুবিধা-অসুবিধাও।
০১) এডোবি ফটোশপ :
শুরু করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার হিসেবে বেশিরভাগ পেশাদারের ভোট এডোবি ফটোশপের দিকে।
লক্ষ লক্ষ মানুষ ছবি এডিট করতে, বেসিক ডিজাইন করতে এডোবি ফটোশপকে বেছে নেয়।
গ্রাফিক ডিজাইন শেখার শুরুর দিকে মানুষ ছবি, ব্যানার ইত্যাদি তৈরীতে বেশি সময় দেয়। আর এই কাজের জন্য সব থেকে সুবিধার হচ্ছে এডোবি ফটোশপ।
ফটোশপে আঁকা, ডিজাইন করা, পেইন্টিং ছাড়াও আরো অনেক অনেক কাজের জন্য এই গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যারটির বিশেষায়িত ফিচার আছে।
এডোবি ফটোশপের অনেক সুবিধা যেমন আছে, তেমনি আছে কিছু অসুবিধাও।
এক সাথে অনেকগুলো অবজেক্ট নিয়ে কাজ করা যায়। সফটওয়্যারটি নতুনদের বোঝার ক্ষেত্রে কঠিন মনে হতে পারে ।
ইন্টারনেটে ব্যাবহারের জন্য HTML এ এক্সপোর্ট করা যায় । অন্যান্য সফটওয়্যারের থেকে এর দাম বেশি।এটি গ্রাফিক্স এডিটিং এর জন্য অনেক উচ্চমানের একটি সফটওয়্যার।
০২) ক্যানভা :
ফ্রি জিনিস কে না পছন্দ করে! আর সেই ফ্রি জিনিসটা যদি হয় একটা গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার, তাহলে তো আর কথাই নেই!
চমৎকার এই সফটওয়্যারটির বেশির ভাগ সুযোগ-সুবিধা ফ্রিতে পাওয়া যায়। একই সময়ে একদম পৃথিবীর অন্য প্রান্তে বসে থেকেও একসাথে গ্রুপে কাজ করা যায় ক্যানভা দিয়ে।
ব্যবহার করা অনেক সহজ।একদম ইউনিক কোনো অবজেক্ট তৈরী করা যায়না।টেক্সট, ফন্ট, লেআউট খুব সহজে পরিবর্তন করা যায়।
ছোট স্ক্রিন, যেমন মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা সুবিধার না । আগে থেকে টেমপ্লেট ঠিক করা থাকে, ফলে কাজ করা সহজ হয় । সৃজনশীলতা কাজে লাগানোর খুব বেশি সুযোগ নেই।
সব কিছু বিবেচনা করলে এডোবি ইলাস্ট্রেটর নিঃসন্দেহে সব চাইতে ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার।
এডোবি ফটো শপের সাথে এর বেশ কিছু মিল থাকলেও, এডোবি ইলাস্ট্রেটর আদতে ফটোশপের বড় ভাই।
ইলাস্ট্রেটর মূলত ভেক্টর ডিজাইনের ওপর জোর দেয়। ইউনিক ডিজাইন তৈরীতে ইলাস্ট্রেটরের জুড়ি মেলা ভার।
আঁকা আঁকির জন্য অনেক চমৎকার টুলস আছে।অনেক ভারী সফটওয়্যার । সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্মতর ডিজাইন তৈরী করা সম্ভব ।
অন্যান্য ভেক্টর গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যার থেকে বেশি দামী । গাণিতিক ব্যাখ্যা ব্যবহার করে ডিজাইন করা যায়।
এই গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার শিখতে অনেক পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের প্রয়োজন । লাখ লাখ গ্রাফিক ইমেজ, ভিডিও এর এক্সেজ পাওয়া যায়।ফটোশপের সাথে মিল আছে।
খুঁজে নাও নিজের পছন্দের সফটওয়্যারটি!
আপনার নিজের জন্য কোন গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যারটি সব থেকে বেশি উপযুক্ত, সেটা কিন্তু আপনাকে নিজে খুঁজেই বের করতে হবে।