কনোনেল স্যান্ডার্স
সফল ব্যক্তিদের ব্যর্থতার গল্প –
প্রতিটি সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প আছে। একবারে কেউ সফল হননি। সফল উদ্যোক্তা, রাজনীতিবিদ, শিল্পী, লেখক, বিজ্ঞানী – যার কথাই বলা যাক, সবাইকেই ব্যর্থতার কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে সফল হতে হয়েছে। আবার এই সাফল্য পাওয়ার পরও অনেকে আবার ব্যর্থ হয়েছেন। আবারও তাঁরা উঠে দাঁড়িয়েছেন, এবং আবার সফল হয়েছেন। এইসব সফল মানুষের সবার মধ্যেই একটা আশ্চর্য মানসিক শক্তি আর আত্ম বিশ্বাস আছে। যত বড় ব্যর্থতার মুখেই তাঁরা পড়েন না কেন কখনই কাজ করা বন্ধ করেন না। কখনই তাঁরা বিশ্বাস হারান না। তাঁদের এইসব ব্যর্থতার গল্প থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। প্রতিটি গল্প থেকেই অনুপ্রেরণা নেয়ার মত কিছু না কিছু আছে।
কনোনেল স্যান্ডার্সঃ
১৮৯০ সালে জন্ম আমেরিকার ‘ইন্ডিয়ানা’ স্টেটে। আর বাড়িটা ছিল ইন্ডিয়ানার হেনরিভ্যালি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। মাত্র ছয় বছর বয়সে পিতাকে হারানোর পর যেন সংসারের সকল চাপ নিজের কাঁধের উপর উঠে আসে।
যখন তাঁর মা বাইরে কাজ করতে যেতেন, স্যান্ডারসকে তাঁর ছোট ভাই ও বোনটিকে দেখে শুনে রাখতে হত। মাত্র সাত বছর বয়সেই বেশ ভাল রান্না শিখে গিয়েছিলেন তিনি। কারণ ছোট ভাই-বোনের খাওয়ার দায়িত্ব তো ছিল তাঁর কাঁধেই ।
১২ বছর বয়সে তাঁর মা নতুন বিয়ে করলে সৎ বাবার আশ্রয়ে খুব বেশি দিন কাটাতে পারেননি তিনি। পরবর্তীতে একটা ফার্ম হাউজে কাজ নিয়ে চলে আসেন অনেকটা দূরে।
পড়াশোনাও খুব বেশি দিন চালিয়ে যেতে পারলেন না। এর পর থেকে শুরু হয় তাঁর প্রতিকূল পথচলা। অনেক চড়াই উৎরাই
পার করে চলে তাঁর জীবন।
কখনো ক্ষেতমজুর, ট্রেনের ফায়ারম্যান, কখনোবা বিমা কোম্পানির সেলসম্যান, গাড়ির টায়ার বিক্রেতা, ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী এবং সর্বশেষ একজন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী।
১৯৩০ সালের দিকে স্যান্ডারস কেন্টাকিতে একটি পেট্রোল স্টেশনের পাশে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য বিক্রয় করতে লাগলেন। নিজেই রান্না করে বিভিন্ন সাউথ আমেরিকান খাওয়ার পরিবেশন করতেন। ধীরে ধীরে খাবারের খ্যাতি আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
ধীরে ধীরে জায়গাটিকে পুরো রেস্টুরেন্টে রূপ দেন। তাঁর প্রথম সফলতা আসে যখন ১৯৩৯ সালের দিকে তার সিগনেচার রান্না নতুনভাবে সকলের সামনে উপস্থাপন করেন।
তিনি নিজেই একটি এমন প্রেসার কুকার তৈরি করে নেন যা ছিল প্রচলিত গুলোর চেয়ে আলাদা। কিন্তু এই প্রেসার কুকারে ফ্রাইড চিকেনের টেক্সচার বা মচমচে ভাবটা খুব ভালভাবেই আসে।
এর পরের দশ বছর বেশ ভালভাবেই কাটে স্যান্ডারসের। ১৯৫০ সালে কেন্টাকির গভর্ণর তাকে ‘কর্নেল’ উপাধি দেন যা একটি স্টেটের পক্ষে ছিল সর্বোচ্চ সম্মান।
এরপর সেন্ডারস নিজের আইকনিক লুকের জন্য সাদা স্যুট এবং কেন্টাকি কর্নেল টাই পরিহিত হয়ে সবার সামনে ধরা দেন। আর এই পোশাকই তাকে আধুনিক যুব সমাজে অন্যতম আইকন হিসেবে জাহির করে।
১৯৫২ সালের দিকে তাঁর এই ব্যবসা নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন স্যান্ডারস। তাঁর এক ব্যবসায়িক বন্ধু পিট হারমেনের সাথে চুক্তি করেন যে তাঁর তৈরি “Kentucky Fried Chicken” এর প্রতিটি মূল্যের সাথে রয়্যালটি হিসেবে চার সেন্ট করে পাবেন।
এই চুক্তির ব্যাপক সাফল্যের পর সেন্ডারস আরও কিছু রেস্টুরেন্টের সাথে অনুরূপ চুক্তি করেন। সবকিছু বেশ ভালভাবেই চলছিল।
কিন্তু হঠাৎ সরকারি জায়গা অধিগ্রহণের বেড়াজালে পড়ে বিশাল ক্ষতিতে বিক্রয় করতে বাধ্য হন তাঁর রেস্টুরেন্ট। হাতে পড়ে থাকে শুধুমাত্র ১০৫ ডলারের সিকিউরিটি চেকের অর্থ।
কিন্তু স্যান্ডারস হার মেনে নেয়ার পাত্র নন। তাঁর চার বছর আগে ফেলে আসা ব্যবসায়িক চিন্তাকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য বদ্ধ পরিকর হলেন।
তাঁর গাড়ি ভর্তি করে নিলেন প্রেসার কুকার, ময়দা, মুরগি, তাঁর নিজের তৈরি রেসিপির অন্যান্য উপকরণ আর ঘুরতে লাগলেন রেস্টুরেন্ট থেকে রেস্টুরেন্ট। উদ্দেশ্য একটাই, যদি ভাল লেগে যায় তার রেসিপি, তাহলেই চুক্তিবদ্ধ হবেন।
কাজটা শুনতে যতটাই সহজ মনে হোক না কেন, বস্তুত ছিল অনেক কষ্টসাধ্য। অনেক রেস্টুরেন্টের দ্বারে দ্বারে যেতে হয়েছিল তাঁর।
কেউ শুনেই হাসি দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিল, কেউ বলেছিল পাগল, আবার কেউ রেসিপি পছন্দ করেও কোনো প্রকার চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। কিন্তু থেমে থাকেননি তিনি । চেষ্টা এক সময় সফলতায় রূপ নিল।
১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তাঁর চেষ্টায় প্রায় ৬০০টি রেস্টুরেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পেরেছিলেন। সেই বছরই অক্টোবর মাসের দিকে ‘জেক সি মেসি’ নামে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁর রেসিপির রয়্যালিটির অধিকার কিনে নেয়ার আবেদন পান।
শুরুর দিকে কোনো আগ্রহই দেখাননি কিন্তু পরবর্তীতে চিন্তা করে দেখলেন, তাঁর এই রেসিপি শুধুমাত্র পারিবারিক উত্তরাধিকার হিসেবে না রেখে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দিলে তাঁর যশ আর খ্যাতি হয়ে থাকবে চিরন্তন।
১৯৬৫ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর জগত ভোলানো রেসিপির অধিকারস্বত্ব দুই মিলিয়ন ডলারে বিক্রয় করেন তিনি।
চুক্তিপত্র অনুযায়ী Kentucky Fried Chicken কোম্পানি হিসেবে পুরো বিশ্বে নিজস্ব রেস্টুরেন্ট খুলবে এবং রেসিপির ব্যাপারে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
১৯৮০ সালে তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্যান্ডারস ছুটে বেড়িয়েছে মাইলের পর মাইল তাঁর হাতে গড়া রেসিপির কদর আর মান দেখার জন্য। কখনো গুণাগুণের ব্যাপারে সমঝোতা করেন নি।
সব সময় চেয়েছেন নিজের তৈরি রেসিপি নিয়ে মানুষের মনে বেঁচে থাকতে। তাঁর চাওয়া যে সফলভাবে পাওয়াতে পরিণত হয়েছে তা তো সময়ই প্রমাণ।
তাই মন থেকে কিছু চেয়ে সঠিকভাবে লেগে থাকলে সফলতা আসবেই। নয়তো যে বয়সে সব হারানোর ব্যথায় নিজেকে লুকিয়ে রাখার কথা, সেই বয়সে নতুন উদ্দীপনায় নতুন কৌশলে নিজেকে জাহির করলেন অন্য এক মাত্রায় এই পৃথিবীর বুকে।
তাই জীবনে কিছু করে দেখানোর জন্য বয়সকে আমলে না নিয়ে কি করে যেতে
চাই সেটাতে জোর দেয়া উচিৎ, যা ছিল স্যান্ডারসের আদর্শ ।
স্যান্ডার্স তাঁর প্রথম জীবনে বেশ কয়েকটি কাজ ধরেছিলেন, যেমন বাষ্প ইঞ্জিন স্টোকার, বীমা বিক্রয়কর্মী এবং পেট্রল – পাস্প অপারেটর। তিনি বিক্রি শুরু করলেন ভাজা মুরগি তার রাস্তার ধারের রেস্তোঁরায় ।
কেএফসির লোগো নিশ্চয়ই দেখেছেন। লোগোর ফ্রেঞ্চকাট দাড়িওয়ালা হাসিমুখের লোকটিই কনোনেল স্যান্ডার্স। তিনি কেএফসি নামক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় ফাস্টফুড চেইনের প্রতিষ্ঠাতা।
এতবড় কোম্পানী যাঁর রেসিপি থেকে শুরু, সেই রেসিপি বিক্রী করতে তাঁকে ১০০৯ বার ব্যর্থ হতে হয়েছিল।
৫ বছর বয়সে বাবা হারানোর পর থেকে
তাঁর সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। নিজের রান্নার দক্ষতার কারণে কাজ পেতে কখনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু যখনই নিজে কিছু করতে গেছেন – তখনই ব্যর্থ হয়েছেন।
১৯৩৯ সালে ৪৯ বছর বয়সে অনেক কষ্টে একটি মোটেল শুরু করেন। মোটেলটি ৪ মাস চলার পরই আগুন ধরে ধ্বংস হয়ে যায়। ৫০ বছর বয়সে তিনি তাঁর সিক্রেট চিকেন ফ্রাই রেসিপি নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন।
১৯৫৫ সালে তাঁর আরও একটি উদ্যোগ
ব্যর্থ হয়। তিনি একটি চার রাস্তার মোড়ে রেস্টুরেন্ট খুলেছিলেন। ভালোই চলছিল সেটি।
কিন্তু নতুন রাস্তা হওয়ার ফলে সেই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলা বন্ধ হয়ে যায়, ফলে রেস্টুরেন্টও বন্ধ করতে হয়। সেই বছর ৬৫ বছর বয়সী কনোনেলের হাতে মাত্র ১৬৫ ডলার ছিল।
এরপর তিনি তাঁর চিকেন রেসিপি বিক্রী করার চেষ্টা করেন। ১০০৯টি রেস্টুরেন্ট তাঁকে ফিরিয়ে দেয়ার পর একটি রেস্টুরেন্ট তাঁর রেসিপি নিয়ে কাজ করতে রাজি হয়।
আজও যখন কিছু মানুষের সফল হওয়ার গল্প শুনি, তখনই মনে হয় ভুল তো নয়! চাইলেই তো সব পাওয়া যায়। শুধুমাত্র চাওয়ার পিছে একাগ্রতা আর সত্যি করে পাবার আকাঙ্ক্ষা চাই।
আর তেমনি একজনের গল্প বলতে যাচ্ছি আজ, যা আমাদের জীবন সম্পর্কে ধারণাটাই হয়তো বদলে দিবে।
বুড়ো বয়সে ভিমরতি বলে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে আমাদের সমাজে। চাকরি শেষ, অবসর সময় মানে চুপচাপ ঘরে বসে থাকা আর মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া কিছু যেন চাওয়া পাওয়া নেই।
অধিকাংশ লোকেরই এমন ভাবনা অবাক করা নয়। কিন্তু তার মধ্যে ব্যতিক্রম যে কেউ নেই তা কিন্তু নয়। তেমনি এক সংগ্রামী, উদ্যমী এবং সফল উদ্যোক্তা হারল্যান্ড স্যান্ডারস।
মাত্র ছয় বছর বয়সে পিতাকে হারানোর পর যেন সংসারের সকল চাপ নিজের কাঁধের উপর উঠে আসে।
সেই সময়ে স্যান্ডার্স তাঁর “সিক্রেট রেসিপি” এবং এ-তে মুরগি রান্নার তাঁর পেটেন্টেড পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন চাপ ফ্রায়ার ।
স্যান্ডার্স রেস্তোঁরাটির সম্ভাবনা স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিং ধারণাটি এবং প্রথম কেএফসি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি চালু হয়েছিল দক্ষিণ সল্ট লেক, ইউটা ১৯৫২ সালে।
যখন তাঁর আসল রেস্তোঁরাটি বন্ধ হয়েছিল, তখন তিনি তাঁর ভাজা মুরগি দেশজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিংয়ের জন্য পুরো সময়কে উৎসর্গ করেছিলেন।
সেই সময়ে স্যান্ডার্স তাঁর “সিক্রেট রেসিপি” এবং এ-তে মুরগি রান্নার তাঁর পেটেন্টেড পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন চাপ ফ্রায়ার ।
স্যান্ডার্স রেস্তোঁরাটির সম্ভাবনা স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিং ধারণাটি এবং প্রথম কেএফসি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি চালু হয়েছিল ১৯৫২ সালে।
যখন তাঁর আসল রেস্তোঁরাটি বন্ধ হয়েছিল, তখন তিনি তাঁর ভাজা মুরগি দেশজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিংয়ের জন্য পুরো সময়কে উৎসর্গ করেছিলেন।
তাই জীবনে কিছু করে দেখানোর জন্য বয়সকে আমলে না নিয়ে কি করে যেতে
চাই সেটাতে জোর দেয়া উচিৎ, যা ছিল স্যান্ডারসের আদর্শ।
১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তাঁর চেষ্টায় প্রায় ৬০০টি রেস্টুরেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পেরে- ছিলেন। সেই বছরই অক্টোবর মাসের দিকে ‘জেক সি মেসি’ নামে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁর রেসিপির রয়্যালিটির অধিকার কিনে নেয়ার আবেদন পান।
১৮৯৫ সালে স্যান্ডার্সের বাবা মারা যান। তাঁর মা টমেটো ক্যানারিতে কাজ পেয়েছিলেন।
সাত বছর বয়সে তিনি রুটি এবং শাকসব্জী এবং মাংসের উন্নতিতে দক্ষ ছিলেন।
শিশুরা খাবারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, যখন তাদের মা কাজের জন্য বেশ কয়েকদিন বাইরে ছিলেন। তিনি যখন ১০ বছর বয়সে স্যান্ডার্স ফার্মহ্যান্ড হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন।
১৯০৩ সালে তিনি সপ্তম শ্রেণি থেকে বাদ পড়ে (পরে বলেছিলেন যে “বীজগণিত আমাকে কি তাড়িয়ে দিয়েছে”) এবং পাশের একটি খামারে কাজ করতে গিয়েছিলেন । ১৩ বছর বয়সে তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
এর পরের দশ বছর বেশ ভালভাবেই কাটে স্যান্ডারসের। ১৯৫০ সালে কেন্টাকির গভর্ণর তাকে ‘কর্নেল’ উপাধি দেন যা একটি স্টেটের পক্ষে ছিল সর্বোচ্চ সম্মান।
মায়ের অনুমোদনে স্যান্ডার্স তাঁর চাচার সাথে থাকার জন্য এলাকা ছেড়ে চলে যান নিউ আলবানী, ইন্ডিয়ানা। তাঁর চাচা স্যান্ডার্সকে কন্ডাক্টর হিসাবে একটি চাকরি সুরক্ষিত করেছিলেন।
সেখানে তিনি তাঁর ভাই ক্লারেন্সের সাথে দেখা করেছিলেন, যিনি তাদের সৎ বাবার হাত থেকে বাঁচার জন্য সেখানেও চলে এসেছিলেন।
জুলাই ১৯৩৯ সালে, স্যান্ডার্স একটি মোটেল অর্জন করেছিল acquired অ্যাশভিল, উত্তর ক্যারোলিনা. ১৯৩৯ সালের নভেম্বরে তাঁর উত্তর কর্বিন রেস্তোঁরা ও মোটেলটি আগুনে নষ্ট হয়ে যায় এবং স্যান্ডার্স এটি মোটেল হিসাবে পুনর্নির্মাণ করেছিল ১৪০-আসনের রেস্তোঁরা সহ।
১৯৪০ সালের জুলাইয়ের মধ্যে স্যান্ডার্স তাঁর “গোপন প্রণালী “একটিতে মুরগি ভাজার জন্য চাপ ফ্রায়ার, যে মুরগির চেয়ে দ্রুত রান্না করে প্যান ফ্রাইং ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ করার সাথে সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ১৯৪১ সালের ডিসেম্বরে, পর্যটন কমে যাওয়ার সাথে সাথে স্যান্ডার্সকে তাঁর অ্যাশভিল মোটেলটি বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
১৯৪২ সালের শেষভাগ পর্যন্ত তিনি সিয়াটলে সুপারভাইজার হিসাবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পরে তিনি টেনেসিতে একটি অধ্যাদেশের কাজ করে সরকারের পক্ষে ক্যাফেটেরিয়াস পরিচালনা করেন,
১৯৪২ সালে, তিনি অ্যাশভিল ব্যবসা বিক্রি করেছিলেন।
১৯৪৭ সালে, তিনি এবং জোসেফাইন বিবাহবিচ্ছেদ করেছিলেন এবং স্যান্ডার্স ১৯৪৯ সালে ক্লাউডিয়াকে বিয়ে করেছিলেন, যেমনটি তাঁর দীর্ঘ ইচ্ছা ছিল।
বার্ধক্যজনিত স্যান্ডার্সের জন্য কোম্পানির ৬০০ টিরও বেশি স্থানে দ্রুত সম্প্রসারণ অভিভূত হয়ে উঠেছে। ১৯৬৪ সালে, তারপরে ৩ বছর বয়সী তিনি কেন্টাকি ফ্রাইড চিকেন কর্পোরেশনকে ২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করলেন কেন্টাকি ব্যবসায়ীদের অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্যে।
প্রাথমিক চুক্তিতে সান্ডাররা ধরে রেখেছে কানাডার কার্যক্রম, বা যুক্তরাজ্য, ফ্লোরিডা, উটাহ এবং মন্টানার ফ্র্যাঞ্চাইজিং অধিকার অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা স্যান্ডার্স ইতিমধ্যে অন্যদের কাছে বিক্রি করেছিল।
তিনি তার বাড়ির রান্নাঘরে নিজের খাবার রান্না করেছিলেন এবং ক্লায়েন্ট রুমে শুধুমাত্র একটি ডাইনিং টেবিল এবং ছয়টি চেয়ার ছিল।
বিনয়ী মেনুর ভিত্তি ছিল ভাজা মুরগি, যা হারল্যান্ড বিশেষত সফল হয়েছিল। পরবর্তী নয় বছরে, তিনি প্রেসার ফ্রাইং মুরগির জন্য তাঁর “গোপন রেসিপি” নিয়ে আসেন এবং উন্নত করেন, যা ফ্রাইং প্যানের চেয়ে মুরগিকে দ্রুত রান্না করে।
১৯৩৫ সালে কেনটাকির গভর্নর রুবি ল্যাফুন তাকে সম্মানসূচক “অর্ডার অফ কেনটাকি কর্নেল” এর সদস্য বানিয়ে
ছিলেন, “রাস্তার ধারের খাবারের উন্নয়নে তাঁর অবদানের জন্য।”
সঞ্চিত অর্থ দিয়ে, স্যান্ডার্স তাঁর গাড়ি মেরামতের দোকানের কাছে একটি ১৪২-সিটের মোটেল এবং রেস্তোরাঁ তৈরি করতে শুরু করেন। স্থাপনাটি দেখতে অনেকটা পরিপাটি জার্মান ফার্মস্টেডের মতো।
আপনি যে ধরনের বিপদ বা খারাপ পরিস্থিতিতেই পড়েন না কেন, এইসব অসাধারণ সফল মানুষদের ব্যর্থতার গল্প এবং ব্যর্থতাকে জয় করার গল্প যদি মাথায় রাখেন – তবে কোন অবস্থাতেই সাহস আর বিশ্বাস হারাবেন না। কোন বড় লক্ষ্যকেই আর অসম্ভব মনে হবে না । যে কোনও ব্যর্থতা থেকেই আপনি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা পাবেন।