ব্যায়ামের রুটিনটাকে ভাগ করে নিন
ডায়েট ও ফিটনেস
অফিসের সিটে বসে কাজ করা আর বাড়িতে বসে ঘর আর বাইরে দুটো দিকই সামলানো মোটেই সহজ কাজ নয়।
সারাদিন চেয়ারে বসে কাজ করতে গিয়ে বাড়তে পারে ওজন, তা থেকে আসতে পারে ডায়াবেটিস ও নানা হরমোনাল সমস্যা।
তার চেয়েও বড়ো কথা হচ্ছে, সাম্প্রতিক কিছু সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, দিনে একবার মাত্র ব্যায়াম করে সারাদিন চেয়ারে বসে কাটালে তেমন লাভ হয় না।
শরীরকে আর্দ্র রাখতে গেলে যেমন সারাদিন ধরে জল খাওয়ার কথা বলা হয় বা এনার্জির জোগান দেওয়ার জন্য সারা দিন ধরে আমরা অল্প অল্প খাবার খেতে থাকি।
ঠিক সেভাবেই ব্যায়ামটা পুরো দিনের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
যাঁরা কাজের ফাঁকে ফাঁকে সিট ছেড়ে উঠছেন ;
যেমন – ঘর মোছা, বাসন মাজা, কাপড় কাচার মতো কাজগুলি করছেন, তাঁদের রুটিনটা ঠিকঠাক মত চলছে।
এর পরে যদি আধ ঘণ্টা বা ৪৫ মিনিটের একটা সেশন ব্যায়ামে ঢোকাতে পারেন, তা হলে আর কথাই নেই।
কিন্তু যাঁরা তা পারছেন না, তাঁরা কী করবেন?
আধ ঘণ্টা বা ৪৫ মিনিটের একটা সেশন ব্যায়ামে যাঁরা সময় দিতে পারছেন না তার ও সমাধান আছে।
চেষ্টা করুন প্রতি এক ঘণ্টা কাজ করার পর তিন মিনিটের ব্রেক নেওয়ার জন্য ।
এই তিন মিনিটের মধ্যে এক মিনিট আপনি কোনও ইনটেন্স ব্যায়াম করবেন।
যেমন ধরুন একবারও না থেমে পাঁচটি বারপিস, তার পরের ব্রেকে দশটি জাম্পিং জ্যাক, তার পর দশটি স্কোয়াট এবং তার পর মাউন্টেন ক্লাইম্বার ব্যায়াম করবেন।
হয়তো কখনও সিঁড়িতে উপর-নিচে উঠা নামা করে এলেন। চেষ্টা করতে হবে সারাদিনে যেন মোট ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা যায়।
শুনতে যতটা কঠিন লাগছে, আসলে ব্যাপারটা মোটেই কঠিন নয় – বরং অনেক বেশি ফ্লেক্সিবল।
আপনি নিজের সুবিধা মত সময় ও ইচ্ছেমতো ব্যায়াম করতে পারবেন অনেক সহজে।