ইউটিউব সম্পর্কিত কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর – পর্ব ১
ইউটিউবে নতুনদের মনে অনেক রকম প্রশ্ন উকিঝুঁকি দেয়। তার মধ্যে বেশ কমন কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে “ইউটিউব সম্পর্কিত কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর” – এর প্রথম পর্ব শুরু করছি। চলুন প্রশ্নের উত্তর গুলো দেখে নেই।
প্রশ্ন – অ্যাডসেন্স থেকে আমার ইউটিউবের উপার্জন ঠিক করে দেখতে পারছি না কেন?
উত্তর – ইউটিউবের উপার্জন অ্যাডসেন্সের ড্যাশবোর্ড থেকে সরাসরি দেখা যায় না।
এ জন্য আপনাকে অ্যাডসেন্সের ড্যাশবোর্ড থেকে পারফরমেঞ্চ রিপোর্ট> প্রোডাক্ট > হোস্টেড অ্যাডসেন্স ফর কন্টেইন্ট –এ জান । সেখানে গেলে আপনার সব উপার্জনের বিবরন দেখতে পারবেন।
প্রশ্ন – ইউটিউবের উপার্জন বাড়াবো কি করে?
উত্তর – এটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। ইউটিউবের উপার্জনটা অনেক কিছুর উপরে নির্ভর করে।
যেমন সিপিসি, কান্ট্রি, ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা সম্পর্কে আমাদের গ্রুপে আগেই খুব ভালো করে বলা হয়েছিল। লিঙ্ক – https://goo.gl/PvJQQD
প্রশ্ন – কপিরাইট ভিডিও কি করে ইউনিক করবো?
উত্তর – প্রথমেই বলি কপি মানেই চুরি। এটাকে ইউনিক করার কি দরকার? শুধু শুধু সময় নষ্ট।
তবে একই ব্যাপারে একটু বলি। অনেকেই আজ কাল রিএক্ট নামের একটা আজিব টাইপের ভিডিও বানান। যেখানে এটা পূর্ব প্রকাশিত ভিডিওতে নিজের চেহারা যোগ করে।
অতঃপর “কুল, ওয়াও, হিহিহিহি” এই রকম বিশেষণ যুক্ত করে। কতো লোক কিন্তু এটা ভীষণ অপছন্দ করে । কারন এটি আপনার ব্যাক্তিত্তর ১২টা বাজিয়ে দিবে।
নিজে কিছু আইডিয়া জেনারেট করুন। এটি নিয়ে আগেও আলোচনা করা হয়েছিলো। দেখে নিন – http://goo.gl/xSe7zo
প্রস্ন – আমার একটি জিমেইলের একটি চ্যানেল ব্যান হওার পরে বাকি চ্যানেল গুলোও ব্যান হয়ে যায়। কারন কি?
উত্তর- এটা ইউটিউবের বহুল প্রচলিত একটি নিয়ম যা বেশিরভাগ মানুষের খুব অপছন্দ।
ধরুন আপনার একটি জিমেইলে ৪টি চ্যানেল আছে। এখন একটি যদি কোন কারনে একটি ব্যান হয়ে যায়, তাহলে বাকি ৩টিও ব্যান হয়ে যাবে।
এর থেকে পরিত্রান পেতে আপনি আপনার সব গুলো চ্যানেল ভিন্ন ভিন্ন জিমেইলে করুন। অতঃপর একটি অ্যাডসেন্সে সব গুলো এসাইন করুন।
প্রশ্ন – ইউটিউবের ভিউ বাড়াবো কি করে?
উত্তর- প্রথমেই বলি এই ব্যাপারে খুব সহজ কোন পথে হাঁটবেন না। শুরুর দিকে একটা সময় থেকে পিটিসি সাইট থেকে subscriber, like, view আনতে চায় অনেকেই । ফলাফল কিন্তু প্রচুর সময় নষ্ট।
আর কিছু না। এসইও করুন। ইউটিউবের এসইও করার মোটা মুটি সব রকম টিউটোরিয়াল লিঙ্ক নিছে দেওয়া হল
http://goo.gl/pGoIfH
এসইওর ব্যাপারে কিছু কথা যোগ করি। কোন রকম টিউটোরিয়ালে বিশ্বাস করবেন না। নিজের রিসার্চে বিশ্বাস করুন। অবশ্য এ জন্য আগে টিউটোরিয়াল দেখুন।
তার পরে তাকে নিজের কাজ, ফলাফল এবং যুক্তির সাথে মিলান। তার পরে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কি করা উচিত।
প্রশ্ন – সিটিআর (CTR) কি?
উত্তর – গুগল অ্যাডসেন্স তাদের এডের ভিউ এবং প্রাপ্ত ক্লিকের একটি অনুপাত করে। এটিকে মুলত (clickthrough rate) সিটিআর বলা হয়।
আমার মতে এটি ১০এর নিচে থাকা উচিত। সিটিআর ১৫ এর উপরে উঠে গেলে বিনা নোটিশে অ্যাডসেন্স ব্যান যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। এটিকে কমিয়ে রাখার জন্য নিজে থেকে ফেক ক্লিক থেকে বিরত থাকবেন।
নিজের শত্রু, পিটিসি ক্লিকার, রোবট ক্লিকার থেকে দূরে থাকবেন। নাহলে আমের (অ্যাডসেন্স) সাথে ছালা (উপার্জন) দুটিই হারাবেন।
ভালো করে এসইও করুন, নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন, এমনিতেই ক্লিক পাবেন। ভিউ থাকলে ক্লিকও পাবেন।
গুরুত্তপূর্ণ সফটওয়্যার – ইউটিউবের ভিডিও বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের ব্যাপারে একটু বলি।
Screen o matic – ইউটিউব ভিডিওটি এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে করা যায় । কম্পিউটারের স্ক্রীন রেকর্ড করার জন্য ভালোই কাজে দেয়।
একই সাথে স্ক্রীন ও ভয়েস রেকর্ড ক্ষমতা সম্পন্ন এই সফটওয়্যারের পেইড ও ফ্রী ভার্সন ২ টিই আছে বাজারে।
ফ্রী সফটওয়্যার দিয়ে আপনি এক টানা ১৫ মিনিট ভিডিও করতে পারবেন।
Wondershare video editor – ছোট খাটো চমৎকার একটি ভিডিও এডিট করার সফটওয়ার। ইহা গুরুত্বপূর্ণ এক ভিডিও এডিটর।
এটি দিয়ে আপনি যে কোন ছোট খাটো ভিডিও এডিটের কাজ অনায়াসে করতে পারবেন।
Camtasia – এটা সব থেকে কাজের জিনিস। একটি মাত্র সফটওয়্যার দিয়ে আপনি স্ক্রীনরেকর্ড এবং এডিটের কাজ সেরে নিতে পারবেন।
বর্তমানে কতো পরিচিত অনেক প্রফেশনালরা এটাই ব্যবহার করেন।
এটি মুলত নতুনদের জন্য লিখা । যারা নতুন, তারা পড়লে তাদের মনের অনেক প্রশ্নই যেন দূর হয়ে যায়।
ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করুন, যাতে নতুনরা জানতে পারে। যা জানি শেয়ার করার চেষ্টা করতেছি, আশা করি অভিজ্ঞরা কোন ভুল পেলে ধরিয়ে দিবেন।
সবাই ভালো থাকবেন। উপরওয়ালা সবাইকে ভালো রাখুক। আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ্ পরবর্তী ইউটিউব অ্যাডসেন্স পার্ট নিয়ে।