প্যাসিভ ইনকাম করার ১০ টি সেরা উপায় :

Created by UY LABin Freelancing19 Sep 2023

প্যাসিভ ইনকাম কি ?

প্যাসিভ ইনকাম বলতে আমরা বুঝে থাকি যে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি।

বিষয়টি অনেকটা ঐ রকম কেননা খুব বেশি কাজ বা এফোর্ট না দিয়ে ইনকাম করার পদ্ধতি হলো প্যাসিভ আয় বা ইনকাম।

এই ইনকামের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার মূল ইনকামের পাশাপাশি বিভিন্ন উপায় কাজে লাগিয়ে ইনকাম করে নিজের আর্থিক অবস্থা অনেক বেশি ভালো করে নিজের জীবনযাত্রার মান আরো বেশি উন্নয়ন করতে পারবেন।

তাই বর্তমান যুগে একটি নির্দিষ্ট ইনকামের পাশাপাশি প্যাসিভ ইনকাম থাকাও জরুরি।

যদি আপনি অন্য কোনো কাজের মাধ্যমে নিজের জন্য বাড়তি ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে পারেন তবে আপনার ভবিষ্যতের জন্য সেটি খুবই উপকারী হবে ।

তাই প্যাসিভ আয় থাকলে আপনি নিজের ইনকাম নিয়ে কিছুটা হলেও সুরক্ষিত থাকবেন। 

প্যাসিভ ইনকাম কীভাবে করতে হয় ?

এই ইনকাম হচ্ছে মূলত একটি নির্দিষ্ট ইনকামের পাশাপাশি আরো বেশি ইনকামের জন্য কোনো ধরনের বাড়তি এফোর্ট না দিয়ে টাকা ইনকাম করাই হলো প্যাসিভ আয়।

প্যাসিভ ইনকামের জন্য কিছু উপায় রয়েছে যে উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি অনেক ভালো পরিমাণে  ইনকাম করতে পারবেন।

এর জন্য আপনার কোনো ধরনের বাড়তি কাজও করা লাগবে না যা মূলত আপনার জন্য প্যাসিভ।

প্যাসিভ আয় কীভাবে করবেন তার কয়েকটি উপায় নিচে তুলে ধরা হলো। 

০১। ইনভেস্টিং : 

ইনকাম প্যাসিভ করার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি হলো ইনভেস্ট বা বিনিয়োগ।

আপনি বিভিন্ন জায়গায় ইনভেস্ট করতে পারেন।  যেমন:কোনো বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের ব্যবসাতে ইনভেস্ট করে , শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করে , রিয়েল এস্টেট এ ইনভেস্ট করে , বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ইনভেস্ট করে।

যদিও আপনি যে কোনো জায়গায় ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই আপনাকে যে জায়গায় ইনভেস্ট করছেন তার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে এবং সতর্কতার সাথে আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে।

প্রয়োজনে আপনি কোনো ইনভেস্টিং এক্সপার্ট এরও সাহায্য নিতে পারেন।আর এর মাধ্যমে আপনি প্যাসিভ আয় করতে পারেন । 

০২। স্টক কনটেন্ট বিক্রি করে :

আপনি নিজের তোলা যে কোনো ছবি বা ভিডিও বা অন্য কোনো ডিজাইন বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ সেল করেও আপনি প্যাসিভ উপায়ে ইনকাম করতে পারেন। 

০৩। ফ্রিল্যান্সিং :

আপনি যে কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজের পাশাপাশি। কিছু স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি অনেক ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারেন।

তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং প্যাসিভ আয়ের পাশাপাশি বর্তমানে অনেকেই এটিকে নিজেদের পূর্ণ ক্যারিয়ার হিসাবে নিয়েও ইনকাম করছে।

এর জন্য আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন , ডিজিটাল মার্কেটিং ,ভিডিও এডিটিং , ওয়েব ডেভলপমেন্ট শিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। 

০৪। ফরেক্স :

ফরেক্স করেও আপনি ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারেন যা আপনার বাড়তি আয় হতে পারে।

ফরেক্স হলো মূলত বৈদেশিক মুদ্রা ট্রেডিং এর অনলাইন একটি মাধ্যম এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো দেশে বসে ডলার , ইউরো ইত্যাদি ট্রেড করে বসে বসে ইনকাম করতে পারেন। 

০৫। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্যাসিভ আয়ের জন্য অন্যতম সেরা একটি উপায়।

এই উপায়টি কাজে লাগাতে হলে আপনার প্রথমে একটি ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেইসবুক পেইজ থাকতে হবে এবং সেখানে উল্লেখযোগ্য কিছু অডিয়েন্স থাকতে হবে যাদের কাছে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।

তারপর আপনার অডিয়েন্স যে বিষয়টি পছন্দ করে সে সংক্রান্ত কোনো একটি পণ্য তাদের কাছে প্রচার করে আপনি কমিশন ভিত্তিতে টাকা ইনকাম করতে পারেন। 

০৬। ইউটিউবিং :

বর্তমানে ইউটিউব এ ভিডিও তৈরি করে ভালো পরিমাণে টাকা কামানো যায়।

কেননা বর্তমানে ইউটিউব বিশ্বের সব থেকে বড় ভিডিও প্লাটফর্ম।

আপনি অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ইউটিউব এ ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন।

তাই ভালো ইউটিউব ভিডিও তৈরি করেও প্যাসিভ আয় সম্ভব। 

০৭। ক্রিপ্টোকারেন্সী :

আজকাল আমরা একটি কথা প্রায়ই শুনে থাকি সেটি হলো বিটকয়েন।

এটি হলো শুধুমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সীর একটি কারেন্সি। যেমন আমরা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মুদ্রা দেখতে পাই যেমন : টাকা, ডলার, ইউরো, রুপি, পাউন্ড এবং এই সব মুদ্রার মান যেমন ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে তেমনি ক্রিপ্টোকারেন্সীরও বিভিন্ন কারেন্সি রয়েছে যেমন : বিটকয়েন ,ইথেরিয়াম, থ্রোন, ডগি কয়েন ইত্যাদি।

যদিও বাংলাদেশে বসে ক্রিপ্টোকারেন্সীতে ইনভেস্ট করাটা অবৈধ কিন্তু আপনি যদি অন্য কোনো দেশে থাকেন তবে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সীতে ইনভেস্ট করে ট্রেড করে ইনকাম করতে পারেন।

বর্তমানে একটি বিটকয়েনের মূল্য ২৫ হাজার ডলারেও বেশি তাই আপনার যদি ক্রিপ্টোকারেন্সীতে ইনভেস্ট করা সম্ভব হয় তবে ভালো পরিমাণে প্যাসিভ আয় করা সম্ভব। 

০৮। কোর্স বিক্রি :

বর্তমানে যে বিষয়গুলোর চাহিদা রয়েছে যদি আপনার তার মধ্যে কোনো একটি বিষয় জানা থাকে তবে আপনি সে বিষয়ের উপর কোর্স তৈরি করে সে কোর্স বিক্রির মাধ্যমে আয় করতে পারেন। 

০৯। বাড়ি এবং ফ্ল্যাট ভাড়া :

আপনার যদি একটি বাড়ি বানানো থাকে বা একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করা থাকে তবে আপনি সেটি ভাড়া দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

বর্তমানে শহরে ভাড়া বাড়ি বা ফ্ল্যাটের অনেক চাহিদা রয়েছে। 

১০। রেস হর্স ক্রয় :

রেস হর্স বলতে এখানে ঘোড়াকে বুঝানো হয় নি। অনেক মানুষ অধিক উপার্জনের লোভে ওয়ার্ল্ড সিরিজ খেলে যেটি খেলে হয় অনেক টাকা লাভবান হবে নয়তো সবকিছু হারাবে।

যেটি অনেক বেশি রিস্কি তাই আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে যে আপনি কোন কাজটি করবেন। 

উপরে উল্লেখিত উপায়গুলো ছাড়াও আরও কিছু  উপায় রয়েছে যেমন : বই লেখা , এপ্স তৈরি , ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট বিক্রি ইত্যাদি এই সমস্ত জিনিস করে আপনি নির্দিষ্ট ইনকামের পাশাপাশি বাড়তি ইনকাম করতে পারেন।

প্যাসিভ ইনকাম কেন জরুরি ? 

বর্তমানে জীবন যাত্রার মান বাড়ার পাশাপাশি অনেক বেশি ব্যয় বহুলও হয়ে গিয়েছে।

আর তাই এই জীবন যাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আপনি নির্দিষ্ট একটি চাকরি কিংবা ব্যবসার ইনকাম দিয়ে চলতে খুবই কষ্টকর।

আর তাই নির্দিষ্ট ইনকামের পাশাপাশি আপনাকে একটি বাড়তি ইনকামের রাস্তা বের করে সেখান থেকে ইনকাম করার মাধ্যমে নিজের চাহিদা পূরণ করতে পারেন।

এখন বিশ্বের বড় বড় ব্যবসায়ীরা তাদের মূল ইনকামের পাশাপাশি প্যাসিভ আয় করে নিজেদের আয় বহুগুণ বাড়িয়ে নিচ্ছে।

আর তাই এই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে অবশ্যই আপনার অন্য আয়ের উৎস থাকা জরুরি। 

এই ইনকাম কখন করবেন ?

আপনি চাইলে যে কোনো সময় প্যাসিভ আয় করতে পারেন কেননা এটি করার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই তবে প্যাসিভ আয় করতে হলে আপনার হয় কিছু স্কিল দরকার অথবা বিনিয়োগ করার মতো টাকা থাকতে হবে।

কেননা আপনি যদি কোনো জায়গায় বিনিয়োগ করেন তখন সেই উৎস থেকে টাকা আসবে।

বা আপনার যদি নির্দিষ্ট কিছু স্কিল থাকে তখন আপনি এই ধরনের ইনকাম করতে পারবেন।

কিন্তু আপনার যদি এই দুটির মধ্যে কোনোটিই না থাকে তখন প্যাসিভ আয় আপনার জন্য কঠিন তাই আমরা অনেকে প্যাসিভ আয় সহজ মনে করলেও আসলে এটি এতটাও সহজ নয়।

নির্দিষ্ট ইনকামের পিছনে না ছুটে আপনি যদি প্যাসিভ আয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন সেটি আপনার জন্য হবে বোকামি কেননা প্যাসিভ আয় মানেই হলো একটি নির্দিষ্ট ইনকামের পাশাপাশি বাড়তি আয় করা।

তাই প্রথমে আপনার জন্য একটি নির্দিষ্ট ইনকাম দরকার হবে তারপর আপনি সেটি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্যাসিভ আয় করতে পারবেন।

তাই প্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে যে আপনি কী ভাবে নির্দিষ্ট একটি আয়ের উৎস তৈরি করবেন।

তারপর সেটি কাজে লাগিয়ে আপনাকে প্যাসিভ আয়ও বের করতে হবে তাই আপনার দুই ধরনের ইনকামই লাগবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *