অন্বেষণ

মহান আল্লাহপাক করেছেন সৃজন,ব্যবস্থা রেখেছেন করতে ভোজন।কষ্ট করে অর্জন কর জ্ঞান।প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর,ধর্মীয় জ্ঞান করেছন ফরজ।সুদুর চীনে গিয়ে হলেও,জ্ঞান লব্দে বের হতে হবে,হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে যবে।আমরা আশরাফুল মাখলুকাতঅবহেলায় হতে চাইনা নিপাতযাকঅনাদরে অবহেলায় আছে অনেকদু:খ কষ্টের প্রমাণ রয়েছে শতেককষ্টার্জিত বিদ্যার কর ব্যবহার,পরিবেশ সমাজকে দিতে উপহার।

দুর্বিষহ

সময়ের উল্টো গতি,ঠিক নেই মতিগতি।বাজার মূল্যের চড়া,মন ছানাবড়া।তেলের তেলেছমাতি,পিয়াজের উর্ধগতি,মানবকূলের দূর্গতি।জীবনের তাগিদ জিবীকার,চতুর্দিকে হাহাকার ।ভিষন্ন মন,সময় ক্ষেপন!কিংকর্তব্য বিমোড়ের মত,চিন্তা – ফিকির অবিরত।

পরিত্রাণ

অবিরাম বৃষ্টির জল,মাট ঘাট হয়েছে তল।গাছ পালা তরুলতা ,ভেসে গেছে যথাতথা।পশু-পাখির ভেঙ্গে আবাসন,হলো তারা সহ নির্বাসন।অথই পানির স্রোতের জুর,চুরমার হলো নদীর কূল।হিংস্র পশু বনের বীর ,তাদের গতি হয়েছে ধীর।সর্বত্রই জীবন মরণ খেলা,কাহারো নেই, কোন অবহেলা।বিপদ সংকুল পরিবেশ,অসংখ্য প্রাণীর নিঃশেষ।শ্রষ্টার কাছে জিবীত প্রাণ,কায়মনে প্রার্থনায় হবে ত্রাণ।

সংবরণ

ধপ করে জ্বলে উঠে আগুন যেমন।খপ করে হয়ে পড়ে রাগও তেমন। না চাপিলে আগুন বিপদ বড় হয়। রাগ না থামিলে,জ্ঞান বুদ্ধি নাহি রয়। ধীর স্থির সিদ্ধান্ত, কল্যাণকর হয়। রাগান্বিত হয়ে নিলে বিপদযুক্ত হয়। ধৈর্যের ফল ভাল সর্বজনে কয়। উড়নচন্ডি হেঁয়ালিতে জুট ঝামেলা রয়।

অসহনীয়

লোকের লোকারণ্যে দলাদলি,যে কোন প্রসংগ নিয়ে বলাবলি।দৈবাত হলে কোন গণ্ডগোল,রিপোর্টারের উপস্থিতি হুলস্থুল।লেখকের কর্ম লেখালেখি,অসভ্যদের অস্ত্র গালাগালি।ঝাড়াঝাড়ি ঠেলাঠেলি বাড়াবাড়ি,ফলশ্রুতিতে রুপ নেয় মারদাংগা।উদ্ভূত পরিস্থিতি না হলে ভঞ্জন,অবশেষে হতে পারে গঞ্জনা ।

প্রাক্তন

রাস্তা ঘাটে গরুর গাড়ি,জমি জমায় হাল।বর্ষায় চলে রংবেরঙের,ডিঙি নৌকার পাল।আগের যুগের মাটির কলস,মাটির কলসির জল।ঘরের শোভা রঙিন শিখা,কই যে গেল বল!শকুনদেরে যায় না দেখা ,বিরল দেখি কাক!রাতের বেলা শিয়ালদের,যথায় তথায় ডাক।পুরাতন শিল আর পাটা,কষ্টের ভাটা ঝাল।এখন নাই কাঠের ঢেঁকি,ঢেঁকির ছাঁটা চাল।প্রাচীন কালের পালকি চলার,নাই রে কোন সুর।ঠেলার গাড়ি হারিয়ে গেল,হায়রে! গেল যে কত দূর।না ঘুমিয়ে…

ঢল

দূর্যোগ দূর্ভোগের এসে যায় বণ্যা,হায় হায় রব জুড়ে শুরু হল কান্না।দূর্গত দূর্গতির রোষানলে যারা,সহযোগীতার কেহ পায়নিগো তারা।মানব দানব আরো কত পশু-পাখি,অসংখ্য অগনিত ঢলে গেছে ভাষি।একই সাথে সকলের বিপদ এসে যায়,আল্লার মেহেরবানীতে শেষে রক্ষা পায়।

তফাৎ

দেখতে সুঠাম দেহ,কথায় চমক মোহ।চলনে খাতির জমায়,কেইবা তারে থামায়।হউক সে গন্ড মূর্খ,কেহই জোড়েনা তর্ক।জোরে সুরে বুলি তার,যুক্তি তর্ক করলে মার।দাপটের বাহাদুরি যার,তাদের গর্জনই সার।বিজ্ঞ জ্ঞানী গুনি যারা,সসম্মানে চুপ থাকে তারা।মূর্খরা সমাজ করছে ধ্বংস,কোন উন্নতি করেনি বংশ।সুশিক্ষায় শিক্ষিত জন,অনুসরণে উন্নতি হয় মন ।

নশ্বর পৃথিবী

আমরা মানব জাতি সাম্যের,চলতে পারিবনা বৈসম্যের।সাম্যের গাহি মোরা মিলে গান,নেইকো মোদের কোন পিছু টান।আমরা সৃষ্টির জীব সেরা,পৃথিবী জুড়ে আছে ঘেরা।নেই জাত ভেদাভেদ গোত্র,মিলেমিশে আছি হয়ে মিত্র।এ ধরায় কেহ আসেনিহয়ে চীরন্জীব,সীমিত সময় শেষ হলেইনিভে যাবে প্রদীপ।একান্তে মোরা সকলের তরে,জনহিতার্থে যাব কাজ করে।স্থায়ী হয়ে ওঠেনি কেউ বেড়ে,সব ই যেতে হবে ধরণী ছেড়ে।