গ্রামীণ
আরম্ভ আর শেষ নেই কোনো
শেষ নেই দস্যুতার
ভোরের বেলায় শূন্যে উঠেছে
এক গ্রামের কুঠার।
ত্রিসীমায় কোনো সঞ্চার কেউ
থাকবে না কোনোভাবে
আছে যেখানেই যত সবুজ রক্ত
সকল কিন্তু শুষে খাবে।
উজাড় করে দিয়ে যাবে সব
বট বৃক্ষ শিমুল শাল
যাকে বল আজ বনভূমি তাকে
জনভূমি বলো কাল।
দশ দিগন্ত নান্দী মুখর হারিয়ে
ফেলেই রয়েছে খেই
এই জীবনে কোথাও মনে হয়
কোনো প্রতিরোধ নেই।
কোথা থেকে সেই মুহূর্তে এসে
দিশাহীন প্রাঙ্গণে
বাইশটি ছেলে বাইশটি গাছ
বেঁধেছে আলিঙ্গনে।
বাইশটি ছেলে বাইশটি শিখা
কত স্নেহের আলিঙ্গনে
পরিদৃশ্যের মাঝখানেতে ওরা
অপেক্ষায় দিন গোনে।
ছালে ছালে জড়িয়ে গিয়েছে
বাইশটি ছেলের প্রাণ
দেহের প্রতিটি লোমকূপে জাগে
কত গায়ক দলের গান।
সম্মুখে শুধু প্রশান্ত থেকে যায়
রোদ্দুরের ঝকঝকে
উদ্যত রেখেছে বাইশটি কুড়াল
দূর থেকে দেখে লোকে।
দূর থেকে দেখে লোকে ছেলেরা
যেন টুনটুনি বুলবুলি
ছেলে নয় ওরা যেনো ছেলে হয়ে
দাঁড়িয়েছে গাছগুলি।