ক্ষুধায় কাতর !

অনাথ হতভাগা একটি ছেলে
জন্মের ছয় মাস আগেই তার
বাবা আর পাঁচ বছরের শেষে
মা পৃথিবী থেকে বিদায় নিলে
আত্নীয়ের বাড়ীতে স্থান মিলে!

অভাবে তাঁদেরও যত কষ্ট হত
ছেলেটি সকাল হলেই পাশের
এক মাঠে ছাগল চরাতে যেত
বিকেলে বাড়ীতে ফিরার পরে
হাত ও মুখ ধোয়ে সেরে নিতো!

চিন্তার জগতে হারিয়ে যেতো
কখনো ফুলের দ্রুত – বৃদ্ধি ও
প্রজাপতির ডানা -মেলা এসব
ভাবতে অবশেষে সারা দিনের
ক্লান্তি ও ক্ষুধায় শরীর কাঁপত!

আত্নীয়ের ছেলেও ফিরে যেতো
উভয়ে ঐ জীর্ণ কুটিরে একত্রে
উপস্থিত হলে শেষে ইচ্ছে মতো
পেট ভরে মিলেমিশে স্বাভাবিক
গোগ্রাসেও ভুট্টার রুটি গিলতো!

রুটির সঙ্গে একটু শুকনো ফল
শেষে খড়কুটোরের বিছানাপত্র।
প্রস্তুত করার পূর্বে ফলের সাথে
কখনো তেল সির্‌কায় ডোবানো
তরকারী খেয়ে পান করত জল!

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *