ধন্যবাদ ছোটবেলা
ছাত্র ছাত্রী যত যে যার মতো পড়া শোনায় ব্যস্ত
দেখা হলে কেউ কোন কথা বলে কেউ বলেই না
কেউ গল্পের বই পড়ে ও কেউ পাঠ্য পুস্তক হাতে
নিয়ে গভীর মনোযোগ সহকারে একমনে পড়ছে
কর্মচারীরা কর্মেই জড়িত যা তাদের উপর ন্যস্ত।
খোলা মাঠটাই সবাইকে কাছে বরণ করতে হন্য
সবুজ ও ছোট ঘাসগুলো মাটিতে ছড়ানো শিল
করই গাছের ছোটছোট যত পাতা আমের মুকুল
জবা ফুল শহীদ মিনারের সিঁড়ি এসব কিছুই তো
স্কুলটির কচি-কাচা নিষ্পাপ প্রাণগুলোরই জন্য।
মনে থাকে না কার সঙ্গে যে ঝগড়াতে ছিল কারা
খেলার সময় কতো যেন মারামারিতে জড়িত ছিল
কেউ আর কার সঙ্গে কথা বলতো না কার বন্ধু কে
শুধু মনে হয় ওই মুহূর্তটাকে অনেক সুন্দর অনেক
মূল্যবান তাই সে সময়কে হারাতে চায়নিতো তারা।
সময়টাতে লাভ লোকসানের ভয় ছিল না কখনো
আম্মু কিংবা টিচারের বকা খাওয়ার ভয় একজন
চোর হয়ে অন্যজনকে ধাওয়া করেছে ব্যস আরো
দৌড়াচ্ছে কোনো কি কারণ ছিল এত স্কুল কোচিং
তদুপরিও এত দৌড়াদৌড়ি ইহা স্মরণ হয় এখনো।
শরীর ক্লান্ত হলেও মনকে কখনো করবে না ক্লান্ত
অনেক পুরনো স্মৃতি জড়িত ওই আনন্দময় মুহূর্ত
কোন ভাবেই অন্তর থেকে মুছে ফেলার মতই নয়
অবশেষে পড়ে গেল ছুটির ঘণ্টাও শেষ হয়ে গেল
খেলা ধুলা চারপাশটা নিস্তব্ধ ঠিক যেন পরিশ্রান্ত।