রে পাষাণ !
রে পাষাণ তোর কি কোনই দয়া মায়া নেই
এতো করে তোকে বলার পর তুই এখনো
অবহেলা করেই যাচ্ছিস আগের মত যেই!
দেখো এ পৃথিবীতে কেহই দীর্ঘ স্থায়ীযে নয়
অনাদর আর অবহেলা করতে পারিস তুই
উদরের সন্তান হয়ে বেখবর ইহা কিরে সয়!
ছোট ছিলে যবে আদর দিয়ে রেখেছি বুকে
কত কষ্ট উপেক্ষা করে মায়া মমতায় ভূলে
যেতাম দুঃখ দুর্দশা যতই চেয়ে তোর মুখে!
পৃথিবীতে তুই কতই যেন ছিলে অসহায়
খোদা ছাড়া পালনে সহায়তা করত কেউ
ছিলনাতো কেবল আমি ছিলাম যা সহায়!
আল্লাহর জমিনে আমি ব্যতীত নেই কেউ
ভাই বোন অথবা আরো নেইতো রে রক্তের
সম্পর্কের আমার এখন ভেসে কষ্টের ঢেউ!
সৃষ্টি কর্তার মেহেরবানীতে রেখেছিও ধরে
তাঁর করুণার ফলে মানুষ হতে পেরেছিস
নয়তো পূর্বেই চীরতরে পড়ে যেতে ঝরে!
অন্তিম মূহুর্ত প্রায় এখন এসে গেছে মোর
তর মংগলের তরে চিন্তায় আছি রে আমি
মরে গেলে ধরার বুকে কি হবে পরে তর!