৭ লক্ষণ: রক্ত পরীক্ষার আগেই বুঝিয়ে দেবে আপনার শরীরে ডায়াবিটিস বাসা বেঁধেছে কি না

রক্ত পরীক্ষা না করিয়েও কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায়, আপনি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত কি না। 
দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস আছে যাঁদের, তাঁদের নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মধ্যেই থাকতে হয়। কিন্তু পারিবারিক ইতিহাস থাকলেও ডায়াবিটিস হয়নি ভেবে যাঁরা নিশ্চিন্তে রয়েছেন, চুপিসারে কখন যে ডায়াবিটিস শরীরে থাবা বসাবে তাঁদের শরীরে, তা ধরতে পারবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস ধরা না পড়লে বা সঠিক চিকিৎসা না হলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে অস্বাভাবিক হারে চুলও ঝরে পড়তে পারে। এ ছাড়াও শরীরে আরও বেশ কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলি দেখলে বোঝা যায়, কেউ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না।

সারা ক্ষণ গলা-বুক জ্বালা করছে? স্যালাডে অতিরিক্ত বেশি কাঁচা টম্যাটো দিচ্ছেন কি?
রক্ত পরীক্ষা করার আগেই শরীরে কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?

১) কেটে গেলে সারতে চায় না
সপ্তাহ খানেক আগে সব্জি কাটতে গিয়ে একটু আঙুল কেটে গিয়েছে। দু’দিন তিন দিনের মধ্যেই তা শুকিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ৭ দিন হয়ে গেল কিছুতেই তা সারতে চাইছে না। এই লক্ষণ কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে হতে পারে।

২) বার বার প্রস্রাবের বেগ
এমনিতেই শীতকালে ঘাম হয় না বলে ঘন ঘন বাথরুমে ছুটতে হয়। ইদানীং আবার প্রস্রাবের বেগের চোটে মাঝ রাতে দু’-তিন বার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। জল বেশি না খাওয়ার পরও যদি এই সমস্যা হয়, বুঝতে হবে ডায়াবিটিসের সমস্যা আছে।

৩) তেষ্টা মিটতে চায় না
শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ায় সাধারণত খুব বেশি জল খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু পরিশ্রম না করেও যদি এই সময়ে তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, তা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার একটি ইঙ্গিত হতে পারে।

৪) ক্লান্ত লাগা
বার বার প্রস্রাবের ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা এবং বিভিন্ন খনিজ বেরিয়ে গেলে ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে প্রস্রাবের পরিমাণও বেড়ে যায়।

৫) সারাক্ষণ খিদে পাওয়া
দুপুরে পরিমাণ মতো সব কিছু খাওয়ার পরেও ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই খিদে পেয়ে যাচ্ছে?

রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে কিন্তু সারা ক্ষণ খিদে পায়।

৬) ত্বকের দাগছোপঃ
ঘাড়, গলা, দুই বাহুমূলে কালো ছোপ পড়েছে? নিয়মিত ঘরোয়া টোটকায় ত্বকচর্চা করেও ফল মিলছে না। তবে চোখে দেখে বুঝতে পারছেন এটি ঠিক রোদে পোড়া দাগ নয়। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে শর্করা বেশি থাকলে, শরীরের এই বিশেষ বিশেষ জায়গায় কিন্তু কালচে ছোপ পড়ে।

৭) যৌনাঙ্গে সংক্রমণঃ
রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। সেখান থেকে মূত্রাশয়, যৌনাঙ্গে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *